১। পটুয়াখালী জেলার প্রতিটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি/ক্যাম্প/তদন্ত কেন্দ্রসহ পুলিশের সকল স্থাপনার সামনে (মূল রাস্তার সাথে) হাত ধোয়ার জন্য সাবান পানিসহ বেসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের কাছে আগত সকল
সেবা প্রত্যাশীসহ সকল পুলিশ সদস্য যেন হাত ধুয়ে ভিতরে প্রবেশ করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সেখানে হাত ধোয়ার উপকারীতা সম্বলিত শ্লোগান টানানো হয়েছে।
২। ভীত না হয়ে গণসচেতনতার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশ সদস্যদের দিয়ে মাইকিং করানো হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে একটি সংক্ষিপ্ত স্ক্রিপ্ট তৈরি করে সকল থানায় প্রেরণ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে- “এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, করোনা ভাইরাস নিয়ে কেউ আতঙ্ক কিংবা গুজব ছড়াবেন না।
নিজে সচেতন থাকুন, অপরকে সচেতন রাখুন, নিরাপদ জীবন গড়ুন। নিয়মিত সাবান দিয়ে দুই হাত ভালো ভাবে ধৌত করুন। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না। হ্যান্ডশেক পরিহার করুন।
হাঁচি/কাশি দিলে নাক, মুখ ঢেকে রাখুন। যতদূর সম্ভব লোক সমাগম এড়িয়ে চলুন। বেড়াতে কিংবা ভ্রমণেযাওয়া পরিহার করুন।
বিদেশ থেকে কেউ আগমন করলে নিজের, সমাজের ও দেশের স্বার্থে নিজের পরিবারের সদস্যসহ কারো সংস্পর্শে না এসে ১৪ (চৌদ্দ) দিন পৃথক রুমে অবস্থান করুন।
এ ব্যাপারে সকল জনসাধারণ উদ্যোগী হোন।
বিদেশ ফেরত লোকজন সম্পর্কে নিকটস্থ পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীকে জানান।
কারো কোন বিষয়ে সন্দেহ হলেও নিকটস্থ পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীকে জানান।
হাত ধুলে বারবার ঝুঁকি কমবে করোনার।
। হ্যান্ডশেক পরিহার করুন করোনা ভাইরাস মুক্ত থাকুন।
।” ৩। এই মুহূর্তে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকার বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে প্রায় ২৫০ জন পর্যটক রয়েছে। সকল স্টেকহোল্ডারসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং পর্যটকদের বিনয়ের সাথে এই এলাকা ত্যাগ করার বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
আমরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকার মধ্যে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকা খালি করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউস সমূহ নতুন কোন বুকিং না নিতে সম্মত হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ বদ্ধ পরিকর।